ভারতের কন্নড় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় মুখ, অভিনেতা হরিশ রায় মারা গেছেন। ব্লকবাস্টার ছবি ‘কেজিএফ’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ‘রকি চাচা’ চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। গত বুধবার ব্যাঙ্গালুরুর কিদওয়াই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রয়াণ ঘটে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, অভিনেতা হরিশ রায় থাইরয়েড ক্যান্সারে ভুগছিলেন। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি এই কঠিন রোগের সাথে লড়াই করছিলেন, যা পরবর্তীতে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
ওভিনেতার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ‘কেজিএফ টু’ ছবির শুটিং চলাকালিনও হরিশ রায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল। সেই সময় তিনি শুটিং সেটে বড় দাড়ি রাখতেন। পরে অভিনেতা নিজেই জানিয়েছিলেন, ক্যান্সারের কারণে তার ঘাড়ে যে ফোলাভাব তৈরি হয়েছিল, সেটি আড়াল করার জন্যই তিনি এই দাড়ি রেখেছিলেন।
ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার কারণে দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তার চেহারা ভেঙে যায় এবং পেট মারাত্মকভাবে ফুলে যায়। এই চিকিৎসার জন্য তিনি একসময় চলচ্চিত্র জগৎ থেকে বিরতিও নিয়েছিলেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি আর পুরোপুরি অভিনয়ে ফিরতে পারেননি।
জীবনের শেষ পর্যায়ে হরিশ রায়কে আর্থিক সংকটেও পড়তে হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, অর্থের অভাবে প্রথমে তিনি অস্ত্রোপচার করাতে পারেননি এবং ছবির মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু চতুর্থ স্তরের ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়ায় তার অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে।
হরিশ রায় আরও বলেছিলেন, একসময় তিনি বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি ভিডিও তৈরিও করেছিলেন, কিন্তু সেটি প্রকাশ করার সাহস পাননি। এই নীরব সংগ্রাম কন্নড় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মন ছুঁয়েছিল।
কর্মজীবনে হরিশ রায় কন্নড় ছাড়াও তামিল এবং তেলুগু ভাষার অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ওম’, ‘সামারা’, ‘ব্যাঙ্গালুরু আন্ডারওয়ার্ল্ড’, ‘রাজ বাহাদুর’, ‘সঞ্জু ওয়েডস গীতা’, ‘নাল্লা’ এবং বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘কেজিএফ’-এর দুটি পর্ব।
খুলনা গেজেট/এএজে

